ভিনির ছবি দিয়ে পেলের আত্মার শান্তি চাইলেন মধুমিতা!

Entertainment desk    |    ০৪:২৩ পিএম, ২০২২-১২-৩০


ভিনির ছবি দিয়ে পেলের আত্মার শান্তি চাইলেন মধুমিতা!

পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন ফুটবলের রাজা পেলে। তার মৃত্যুতে শোকাহত গোটা ফুটবল দুনিয়া। শোকে ভাসছে বিনোদন জগতও। পেলের মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক প্রকাশ করছেন অনেক তারকা অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। এর মধ্যে রয়েছেন কলকাতার পাখি খ্যাত অভিনেত্রী মধুমিতা।

তবে শোক প্রকাশ করতে গিয়ে একটি ভুলও করে ফেলেছেন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। আত্মার শান্তি কামনা করতে পেলের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন ব্রাজিলের বর্তমান সময়ের তারকা লেফট উইঙ্গার ভিনিসিয়াস জুনিয়রের ছবি। আর এতেই উত্তাল নেট দুনিয়া। এরপর তোপের মুখে নতুন পোস্ট দেন মধুমিতা। তবে ভক্তরা সেখানেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এক ভক্ত সেই পোস্টে মন্তব্য করেছেন, ‘তুমি টলিউডের একজন বড় অভিনেত্রী। তুমি যখন কোনো কিংবদন্তিকে নিয়ে কিছু পোস্ট করবে, তখন মনে রাখবে তুমি কী শেয়ার করছ। এটা ছোট ভুল কিন্তু বড় ধরনের অপমান। তোমার ভালোর জন্যই এটা মনে রেখ।’

আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘কম জানাটা অন্যায় নয়, কিন্তু ‘আমি কম জানি’ এটা না জানা অন্যায়।’

ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করছিলেন পেলে। কেমোথেরাপি কাজ না করায় গত নভেম্বরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তার শারীরক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে থাকে। গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাজিলের সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।

পেলের মেয়ে কেলি নাসিমেন্তো ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তবে সম্প্রতি শেষ হওয়া কাতার বিশ্বকাপের মাঝ থেকে আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল পেলের। একবার তো মৃত্যুর গুজবও ছড়িয়েছিল। তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তার মেয়ে কেলি নসিমেন্তো জানান, নিয়মিত চিকিৎসার অংশ হিসেবে তার বাবাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

পরে জানতে পারা যায়, পেলের ক্যান্সারের অবস্থার অবনতি হয়েছে। অসুস্থতার কারণে এবারের বড় দিনও এই কিংবদন্তি হাসপাতালে কাটান।

পেলে বিশ্বের একমাত্র ফুটবলার হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপ জিতেছেন। সেলেসাওদের হয়ে ১৯৫৭ থেকে ’৭১ পর্যন্ত ৯২ ম্যাচ খেলে ৭৭টি গোল করেছেন তিনি। তিনি এখনও ব্রাজিলের সর্বোচ্চ গোলদাতা। এ ছাড়া পেলের নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ফুটবল বিশ্বের রেকর্ড এক হাজার ২৮১টি গোল, যা আজও ভাঙতে পারেনি কেউ।